Friday, June 5, 2020

নববর্ষের উপহার [ A new year gift Guy de Manpassant]


অনুবাদকদোলা সেন

-       আমার খাওয়া হলে তুমি বাড়ি যেতে পার
নিত্যদিনের মতো কাজের লোকটিকে কথা কটি বলে জ্যাক্যুইস দ্য রান্ডাল একলাই বসে রাতের খাবার শেষ করলেন। এরপর তিনি কিছু চিঠিপত্র লিখে থাকেন। আজ বছরের শেষ দিন। চোখ বন্ধ করে পুরোনো বছর কেমন কেটেছে, তার একটা ছোট্ট চলচ্চিত্র দেখে নিলেন। বন্ধুদের অধিকাংশইই কাছে নেই। সবাই জীবিকার কারণে দূরে চলে গেছে। দু একজন মারাও গিয়েছে। সবার নামই কি আর মনে থাকে? তবু যাদের নাম মনে আছে, তাদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি লেখেন তিনি। তাঁর বহুবছরের অভ্যাস।

সবার আগে যার নাম মনে পড়ল, ড্রয়ার খুলে তার একটি ছবি বার করে দেখলেন কিছুক্ষণ।গভীর আবেগে প্রিয় মুখটিকে চুমু খেলেন তিনি। তারপর কাগজ টেনে লিখতে শুরু করলেন
প্রিয়তমা আইরিন,
এতক্ষণে তোমার কাছে আমার ছোট্ট উপহারটি পৌঁছে গেছে। এখন একলা ঘরে বসে তোমায়...
মাঝপথেই কলম থামিয়ে উঠে পড়লেন জ্যাক্যুইস। অস্থিরভাবে ঘরের এপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত হেঁটে বেড়াতে থাকলেন। এই সুন্দরী মেয়েটির কথা ভাবলেই এক অস্থিরতা কাজ করে মনের ভিতর। আইরিনসুন্দরী এবং বিবাহিতা। এবং জ্যাক্যুইসের প্রণয়িনী। শুধু মোহ নয়, আইরিনকে জ্যাক্যুইস ভালোবাসেন ভিতর থেকে। তরুণ না হলেও, তিনি অনেক যুবকের চেয়েই বেশি যুবক। এই নারীকে তিনি নিজের সবটুকু দিয়ে ভালোবেসেছেন, জয় করেছেন। আইরিনের উপস্থিতি তাঁকে জীবন সম্বন্ধে ইতিবাচক এবং আন্তরিক করেছে। তবু...
জ্যাক্যুইস এই সব ভাবনাতে এমন মগ্ন হয়েছিলেন যে সামান্য ডোরবেলের আওয়াজেই বিষম চমকে গেলেন। এতো রাতে, এই সময়ে... কে? জ্যাক্যুইস খানিকটা দ্বিধায় পড়লেন এই রাতে অচেনা আগন্তুককে দরজা খুলে দেওয়াটা কি যুক্তিযুক্ত হবে? এর মধ্যেই দ্বিতীয়বার ঘন্টাটা বেজে উঠলো। ঘড়ির দিকে তাকালেন জ্যাক্যুইস। নাঃ, নতুন বছরের প্রাক্কালে অতিথি যদি দরজায় এসে শুভেচ্ছা জানাতে চায়, তাহলে সে যেই হোক না কেন, তাকে শুভ নববর্ষ বলাই উচিত। অতএব তিনি একহাতে মোমবাতি হাতে নিয়ে, স্টাডিরুম থেকে বেরিয়ে দরজা খুললেন।
দরজার ওপারে দেওয়ালে হেলান দিয়ে যে মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে, তার মুখ রক্তশূন্য, যেন এক চলমান মৃতদেহ।
-       আইরিন, তু-তুমি? এ-এতো রাতে?
-       তুমি কি বাড়িতে একা আছ?
-       হ্যাঁ।
-       চাকরবাকর?
-       চলে গেছে।
-       কোথাও বেরোচ্ছো??
-       না।
এতোক্ষণে আইরিন ঘরে প্রবেশ করল তার ভঙ্গিতেই স্পষ্ট যে, ঘর তার চেনা। সোজা বসবার ঘরে এসে নিজেকে সোফার গহ্বরে যেন সমর্পণ করল। তারপরেই দুহাতে মুখ ঢেকে উচ্ছ্বসিত কান্নায় ভেঙে পড়ল।
জ্যাক্যুইস মেয়েটির পাশে হাঁটু গেড়ে বসলেন। নরমভাবে দুহাতে তার হাত সরিয়ে জলে ভেজা মুখখানি নিজের হাতে  তুলে ধরে তার চোখের দিকে চাইলেন।
-       আইরিন, আমার আইরিন,কি হয়েছে? আমায় বলো লক্ষ্মীটি।
কান্নায় গলা বুজে গেছে। তবু তারই মধ্যে কোনোরকমে উত্তর দিল-
-       আমি আর এভাবে বাঁচতে পারছি না।
-       এভাবে, কিভাবে? কি হয়েছে সোনা?
-       আ-আমি আর এভাবে থাকতে পারছি না। সহ্যেরও একটা সীমা আছে। জানো,আজ বিকেলে ও আমার গায়ে হাত তুলেছে?
-       কিইই? কে? তোমার স্বামী?
-       আবার কে?
-       সে কি?
জ্যাক্যুইসের অবাক হওয়াটা যথাযথ। আইরিনের স্বামী, যাকে বলে একজন নিপাট ভদ্রলোক। অভিজাত সমাজের এক বিশিষ্ট ব্যক্তি। স্ত্রী-অন্ত প্রাণ, ধর্মভীরু, অত্যন্ত সামাজিক, দক্ষ তলোয়ারবাজ, মাঝারি বুদ্ধিবৃত্তি, ঘোড়দৌড়ের মাঠে একজন জনপ্রিয় উপস্থিতি। মোদ্দা কথা হলো সমাজের একজন আদর্শ মানুষ হতে গেলে যা যা গুণ দরকার, ভদ্রলোকটির মধ্যে সবকটিই বর্তমান।
আইরিনের বন্ধু হিসেবে জ্যাক্যুইসের সঙ্গেও ভদ্রলোকের সুন্দর সম্পর্ক ছিল। বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হবার পর জ্যাক্যুইস লোকটির সঙ্গে আরও ভালো ব্যবহার করে থাকেন। ফলে দুজনের সম্পর্ক আগের চেয়ে আরও ভালো বই খারাপ হয়নি। কাজেই তিনি কোনোদিনও ভাবতে পারেননি এইভাবে তাঁকে এক ঝড়ের মুখোমুখি হতে হবে। কিছুটা এলোমেলোভাবেই তিনি কথার রাশ ধরলেন
-       কি করে এমনটা ঘটল?
আইরিন এককথায় জবাব দিল না। এলোমেলো ভাবে সে তার বিয়ের পরের জীবনের কথা বলতে থাকল। বিয়ের পরের রোজকার সাধারণ মতভেদ, যা সামান্য সাংসারিক খিঁচখিঁচানি বলেই মনে হয়েছিল তখন – তারই ক্লান্তিকর বর্ণনা দিয়ে চলল সে। তারপর কখন যেন ওরা দু’জনেই বুঝতে পারল – দুটো মানুষের জীবনদর্শন, বাঁচার ধারা সম্পূর্ণ আলাদা। আস্তে আস্তে বিভেদ বাড়তে থাকল। ফলে ঝগড়া। সেটা মৃদু থেকে ক্রমশঃ উগ্রতর হয়েছে দিনদিন। ইদানিং তা রূপান্তরিত হয়েছিল স্বামীর জ্বলন্ত ঈর্ষায়। ফোঁপাতে ফোঁপাতেই সে বলে উঠলো,
-       ও আমাদের কথা জানতে পেরে গেছে। তাই নিয়ে কথা কাটাকাটি হতে হতেই আজ সে আমাকে মেরেছে পর্যন্ত। আমি আর ওর কাছে ফিরে যাবো না। তুমি বলে দাও আমি এবার কি করব।
জ্যাক্যুইস উঠে আইরিনের মুখোমুখি বসলেন। এতো কাছাকাছি যে, দুজনের হাঁটুতে হাঁটু লেগে গেল। দুহাতে তার হাতদুটি ধরে মমতামাখা গলায় বললেন-
-       আইরিন, শোন সোনা। যা বলছি ভালো করে শোনোতুমি খুব বড়ো ভুল করতে চলেছ। তুমি যদি তোমার স্বামীকে ত্যাগ করতে চাও, তাহলে তা সঠিকভাবে করো। তা না হলে সমাজে তোমার সম্মান ধূলোয় মিশে যাবে
-       তুমি আমাকে কী করতে বলো?
-       ফিরে যাও। যতোদিন পর্যন্ত আইনী সেপারেশন বা ডিভোর্স পাও, ততদিন এটুকু সহ্য করো।
অস্থির হয়ে উঠলো আইরিন। ছটফটিয়ে উঠলো তীরবেঁধা পাখির মতো।
-       ভীতুর মতো কথা বলছ তুমি!
-       না, বরং যুক্তিসঙ্গত এবং সঠিক কথা বলছি। ভেবে দেখো, সমাজে তোমার একটা প্রতিষ্ঠা আছে, সুনাম আছে। এছাড়া তোমার আত্মীয়, বন্ধুরা আছে। এই খামখেয়ালিপনার জন্য তুমি সবকিছু হারাবে।
চেয়ার ঠেলে উঠে দাঁড়াল মেয়ে। ঘাড় ঝাঁকিয়ে বলল –
না, না এবং না! আমি আর নিতে পারছি না। সব শেষ হয়ে গেছে। বুঝলে, সঅব শেষ!
প্রিয় পুরুষটির কাঁধে দুহাত রেখে চোখে চোখ মিলিয়ে শুধালো –
-       ভালোবাসো আমায়? সত্যি ভালোবাসো?
-       বাসি আইরিন।
-       তাহলে আমায় যেতে বলো না। তোমার কাছে রাখো আমায়।
-       এইখানে? আমার বাড়িতে? তুমি পাগল হয়েছ? এর মানে জানো? আমি তোমায় চিরকালের মতো হারাবো।
এবার খুব ধীরে ধীরে, কেটে কেটে, যেন প্রতিটি কথা তুলাদণ্ডে মেপে বলছে, এমনভাবে আইরিন বলল –
শোনো জ্যাক্যুইস, ও আমাকে তোমার সঙ্গে দেখা করতে বা মিশতে মানা করেছে। লুকিয়ে চুরিয়ে তোমার বাড়ি আসার তামাশাটা আমার দ্বারা হবে না। বুঝতে পারছ আমার কথা? আজ হয় তুমি আমায় গ্রহণ করবে নয়তো পুরোপুরি ত্যাগ করবে।
-       তাহলে ডিভোর্স নাও আইরিন। একমাত্র তাহলেই আমরা বিয়ে করতে পারি।
-       হ্যাঁ, কিন্তু সেটা পেতে তো বছর দুয়েক লাগবে। সে দুবছর তুমি যে অপেক্ষা করবে, সে বিশ্বাস আমার আছে। আমি তোমার কাছেই থাকতে চাই।
-       কিন্তু আইরিন, একটা কথা তুমি ভেবে দেখছ না। আমার কাছে থাকার সময়, যদি সে, মানে তোমার স্বামী, তোমায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আসে, তাহলে কিন্তু আইনের সাহায্যটা সেই পাবে।
-        আমি কিন্তু এখানে, তোমার বাড়িতে আমায় রাখার কথা একবারও বলিনি জ্যাক্যুইসআমায় তোমার কাছে থাকতে দিতে বলেছিলাম শুধুআমি ভেবেছিলাম, তুমি আমায় এতোটাই ভালোবাসো, যে সব ছেড়ে আমাকে নিয়ে অন্য কোথাও যেতে তোমার আপত্তি হবে না। আমি বুঝতে পারছি, আমার ভুল হয়েছিল। আমি চললাম।
এতো দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে গেল আইরিন যে জ্যাক্যুইস কোনক্রমে তাকে দরজা খোলার আগে ধরতে পারলেন – শোনো আইরিন, শোনো...

ছটফট করছে আইরিন। প্রাণপণে জ্যাক্যুইসের বাহুবন্ধ ছাড়িয়ে বের হবার চেষ্টা করছে সে। জলভরা চোখে শুধু বলে যাচ্ছে – ছেড়ে দাও আমায়। আমাকে আমার মতো থাকতে দাও। আমি আর কিচ্ছু শুনতে চাই না। ছেড়ে দাও।

জ্যাক্যুইস তাকে জোর করেই ঘরের ভিতর ফিরিয়ে আনলেনসোফার উপর বসিয়ে আগের মতোই হাঁটু গেড়ে বসলেন আবার। দু হাতে তার কোমর জড়িয়ে ধরলেন
তারপর খুব ভালোভাবে এই প্রস্তাবের বিপদ, বদনামের আশংকা আর বাকি অসুবিধেগুলো বোঝাতে থাকলেনভেবে ভেবে প্রাণপণে যুক্তিদের খুঁজে আনতে লাগলেন, যাতে আইরিনকে তাঁর প্রস্তাবে সম্মত করাতে পারেন

চুপ করে শুনছিল আইরিন। তার অস্থিরতা এখন আর নেই। শান্তভাবে জ্যাক্যুইসের সব যুক্তি, সব অনুনয় শুনে যাচ্ছিল আঙুলটিও না হেলিয়ে। বলতে বলতে একসময় যখন থামল জ্যাক্যুইস, আইরিন সেই শান্ত গলাতেই জবাব দিল – তোমার কথা শেষ হয়েছে? তাহলে হাতটা সরাও, আর আমায় যেতে দাও।
-       আইরিন, প্লিজ..
-       আমায় যেতে দাও।
-       তার মানে তুমি এই বোকা বোকা, অসম্মানজনক, অপূরণীয় ক্ষতিকর সিদ্ধান্তটাই বহাল রাখছো?
-       হ্যাঁ। যেতে দাও এবার।
-       বেশ। তাহলে থাকো। এটা তোমারও বাড়িকাল আমরা অন্য কোথাও চলে যাবো।
খানিকটা জোর করেই জ্যাক্যুইসকে ঠেলে সরিয়ে উঠে দাঁড়ালো আইরিন। গলায় তার অদ্ভুত কাঠিন্য – দয়া করছো আমায়? আমি প্রেমের একনিষ্ঠতা চেয়েছিলাম জ্যাক্যুইস, করুণা নয়। যেতে দাও এবার।
-       না। যাবে না। জ্যাক্যুইসের গলাও এবার দৃঢ়, কঠোর –
-       তোমাকে আমি এতোক্ষণ সেটাই বুঝিয়েছি, যাতে তোমার ভালো হয়। আমার দায়িত্ব ছিল তুমি যেন আবেগের বশে নিজের ক্ষতি না করে বসো, সেটা দেখা। সব শোনার পরেও তুমি যখন আগের সিদ্ধান্তই বজায় রাখছো, তখন আমার আর কিছুই করার নেই। আমার বিবেক এখন শান্ত। এবার তুমি বলো। তুমি যা বলবে আমি তাই করবো।
আইরিন থামল। একবার পূর্ণদৃষ্টিতে তাকালো জ্যাক্যুইসের দিকে। অনেকক্ষণ কি যেন খুঁজল সেখানে। তারপর আবার শান্তভাবে সোফায় বসে বললো – সব কিছু খুলে বলো।
-       কি খুলে বলবো আবার?
-       সবকিছু। কেন তুমি সিদ্ধান্ত বদলালে। সব শুনে তারপর আমি সিদ্ধান্ত নেব।
-       মানে? আমি তো বললাম যে তোমার যে কোনো প্রস্তাবে আমি রাজি।
-       কিন্তু প্রথমে তুমি রাজি ছিলে না জ্যাক্যুইস। তোমার মত বদলানোর কারণটা আমি শুনতে চাই। একমাত্র তারপরেই আমি সিদ্ধান্ত নেবো।
-       তথাস্তুআমি তো বলেইছি, এখন তুমি যা বলবে তাই হবে।

একটু নিজেকে গুছিয়ে নিলেন জ্যাক্যুইস। পরপর ভাবনাগুলোকে সাজিয়ে নিলেন।
-       যখন এক পুরুষ  নারীকে ভালোবেসে, শুধু ভালোবেসে আপন করে নেয়, এবং মেয়েটিও তার সর্বসত্ত্বা দিয়ে ছেলেটিকে ভালোবাসে, তখন তাদের মধ্যে এক পবিত্র অনুচ্চারিত দায়বদ্ধতা তৈরি হয়। সেই বন্ধন যে কোনো সমাজ স্বীকৃত বন্ধনের চেয়ে দৃঢ়।
 বিয়ে আমার কাছে একটা সামাজিকভাবে বৈধ প্রথা মাত্র। একজন মানুষের অন্তরের সত্যের চেয়ে, সে কখনোই বড়ো নয়।
তুমি আজ তোমার শরীর, মন, আত্মা, সম্মান, এমনকি তোমার জীবন আমার হাতে তুলে দিতে এসেছ। যে সমাজ এতোদিন তোমায় সম্মান দিয়েছে, এরপর সেই সমাজ তোমাকে ঘৃণা করবে। তোমার স্বামী হয়তো তোমায় খুন করতে চাইবে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব তোমায় তোমায় ত্যাগ করবে। সবাই তোমার নিন্দা করবে। তাই তোমার বন্ধু হিসেবে সামনের অন্ধকার দিনগুলোকে তোমার সামনে তুলে ধরা আমার কর্তব্য ছিল। সব জেনেও তুমি যখন তোমার সিদ্ধান্তে অনড় রইলে, তখন আমার আর কিছুই করার নেই
এক দায়িত্বশীল বন্ধু তোমায় এইসব কথা বলেছিলএখন তোমার সামনে যে দাঁড়িয়ে আছে সে শুধুই প্রেমিকযে তোমাকে তার সবটুকু দিয়ে ভালোবাসে। এবার বলে দাও, আমাকে কি করতে হবে?

এতোক্ষণ আইরিন শান্ত হয়ে জ্যাক্যুইসের প্রতিটি কথা, তার প্রতিটি অভিব্যক্তি সমস্ত মন দিয়ে শুনছিল। জ্যাক্যুইস থামতে সে যেন হঠাৎ চকিত হয়ে উঠল। এগিয়ে এসে দুহাতে তার দয়িতের গলা জড়িয়ে ধরে তাঁর ঠোঁটে একটা সুদীর্ঘ চুম্বন এঁকে দিল। কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল,
-       সব মিছে কথা সোনা। কিচ্ছু হয়নি। ও কিছুই সন্দেহ করেনি।
কিন্তু আমি দেখতে চেয়েছিলামআমি জানতে চেয়েছিলাম যে, এরকম পরিস্থিতি এলে তুমি কি করবে? তোমার দেওয়া নেকলেসটা আগেই পেয়েছি। কিন্তু আজ তুমি আমাকে নববর্ষের শ্রেষ্ঠ উপহার দিলে – নিজেকে!
ঈশ্বর পরম করুণাময়তিনি আমার ঝুলিতে এই অমূল্য উপহার ভরে দিয়েছেন!



No comments: