- - ও মেয়ে, তোর নাম
কি ?
- - নাম? সে তো একসময় ছিল রীতা মিত্র। বড় হলুম যখন,
তখন হয়ে গেল রীতা রায়, তারও কিছুদিন পরে মিসেস রায়।
- একটা বাড়ী ছিল জান? সেটা আমার কিনা জানিনা – সেখানেই বাবা,
মা, হাঁটি-হাঁটি-পা-পা, অ-আ-ক-খ......
- তারপর?
- তারপর আর কি? একদিন শাড়ী-গয়নায় সাজিয়ে দিয়ে বলল,- এটা আর
তোর বাড়ী নয়। দিন ঘুরতেই দেখি নতুন ঘর, নতুন নাম, নতুন লোক, নতুন বাবা, নতুন মা...
-
- বাপরে বাপ! তা আছিস কেমন ?
- বাপরে বাপ! তা আছিস কেমন ?
- নতুন ঘরের নতুন নিয়ম! ইচ্ছেডানা ছাঁটতে ছাঁটতে নিজেকেই
হারিয়ে ফেলেছি গো। ভালই আছি বোধহয়।
- হুঁ, সাজুগুজু করে আছিস, বেশ লাগছে দেখতে।
- ঠিক পুতুলের মত, তাই না?
- সুখে আছিস না দুঃখে বাস ?
- ওমা, এসব কি বলতে-শুনতে আছে? সবাই খুশী থাকলেই তো আমারও খুশী
থাকা উচিত গো।
- তা’লে, এটাই তোর শেষ ঠিকানা?
- ঠিক বলতে পারছি নে। বাপের বাড়ী, শ্বশুড়বাড়ীর পরেও আরো একটা বাড়ী থাকে যে গো।
ছেলের বাড়ী ?
- আবার?
- তবে এবার একটা সুবিধে হয়েছে জান? ভাগ্যিস বাবা-ছেলের পদবী
এক। তাই শুধু নামটাই বদলাবে। মিসেস রায় থেকে রণিতের মা।
- তোর কোন ইচ্ছে নেই? মনের গভীরে, খুউব চুপিসারে লুকিয়ে আসা একান্ত
নিজের কোন ইচ্ছে?
- কাউক্কে বলবে না তো? তাহলে বলি – একবার, শুধু একটি বার ওই
নীল আকাশে ইচ্ছেডানা ছড়িয়ে “আমি” হয়ে ভাসতে চাই। দেবে গো? শুধু
একটিবার?
1 comment:
মনের কথা।
Post a Comment