কিছুদিন ধরেই নিবারণ বুঝতে পারছিল যে
কোথাও একটা গণ্ডগোল আছে। ঘটনাগুলো ঠিক যেভাবে ঘটবার সেভাবে ঘটছে না। মনে অশান্তি
থাকলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে গা চুলকাতে চুলকাতে বিড়ি খাওয়াটা নিবারণের অনেক দিনের
অভ্যেস। আজও তাই করছিল। কিন্তু খুট করে বাথরুমের দরজা খোলার আওয়াজ পেয়ে, তাড়াতাড়ি
বিড়িটা নিভিয়ে অন্যদিকে চলে গেল। নীতা এখুনি এখানে জামাকাপড় মেলতে আসবে। বিড়ির
গন্ধ পেলেই ঝামেলা পাকাবে। অফিস যাওয়ার আগে নিবারণ নতুন করে আর কোনো অশান্তি চায়
না।
অবশ্য সেভাবে দেখতে গেলে নীতা তো ঝগড়া
করেও না। কিন্তু হাসিমুখেই এমন দু তিনটে কথা বলে, যা নিবারণ বাপের জন্মে শোনেনি।
ভাবা দূরস্থান। ফলে তখনকার মতো হার স্বীকার করা ছাড়া উপায়ও থাকে না। নিবারণ এমনিতে
রাগী মানুষ। তার বাবার মতোই। অথচ বাবার রাগের পরে মায়ের প্রতিক্রিয়া, আর তার রাগের
পরে নীতার.... নিবারণের মাথাটা আবার গরম হয়ে গেল। মা, বাবাকে কতো ভয়, কতো মান্য
করে চলে এখনো, আর নীতা?