চৈত্রের নেশা ধরানো গরম দুপুর। শুকনো
পাতা টুকটাক ঝরে পড়ছে পথের ধারে। নেহাত গাছপালার ছায়া আছে বলে রোদের তাতটা বোঝা যাচ্ছে
না। বরং দমকা গরম হাওয়ায় ঘাম শুকিয়ে আরামই লাগছে। সূর্য পশ্চিমপারে একটু হেলে গেলেই
গরম উধাও হয়ে যাবে। আর বিকেল নাগাদ যদি একটু ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয় তাহলে তো রাতে
শোওয়ার সময় একটা চাদর টেনে নিতে হবে। ভাবনাগুলোকে এলোমেলো হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়ে অলোক
পথ চলছিল।
তার গন্তব্য কালজানির চর। নদীটার এমন নাম যে কে রেখেছিল? কাল জানি – আজ নয়? আচ্ছা, জানা হয়ে গেলেই সে অতীত হয়ে যায়? না জানাাটাই কি একমাত্র ভবিষ্যতের কোঁচড়ে লুকিয়ে থাকে? নদীর এই নামটা শুনলেই এসব অর্থহীন ভাবনারা যে কেন অলকের মনে ভীড় জমায়!
তার গন্তব্য কালজানির চর। নদীটার এমন নাম যে কে রেখেছিল? কাল জানি – আজ নয়? আচ্ছা, জানা হয়ে গেলেই সে অতীত হয়ে যায়? না জানাাটাই কি একমাত্র ভবিষ্যতের কোঁচড়ে লুকিয়ে থাকে? নদীর এই নামটা শুনলেই এসব অর্থহীন ভাবনারা যে কেন অলকের মনে ভীড় জমায়!
এই দুপুরে নদীর তীর বড় নির্জন। নদীর সঙ্গে
দেখা করতে চাইলে এটাই প্রশস্ত সময়। অবশ্য আজ আর নদীর সঙ্গে নিভৃত আলাপ হবে না। আজ
সুমন আসবে। তার ছোটবেলার বন্ধু। প্রাণের কথা বলার জন্য এই নদীর চর তাদের চিরকালের
পছন্দ। আজও ছুটিতে বাড়ি এলে এখানেই আড্ডা জমায় ওরা। সুমন গ্রামে ছিল না। কাল ফিরেই
দেখা করার জন্য খবর পাঠিয়েছে।
গাছগাছালির ছায়া পেরিয়ে আবার খোলা
রোদ্দুরে এসে পড়লো অলক। রোদের হলকায় চোখ কুঁচকে গেলেও মুখে চওড়া হাসি ফুটে উঠলো।
উলটোদিক দিয়ে সুমন দ্রুতপায়ে এগিয়ে আসছে। তাড়াতাড়ি পা চালিয়ে বন্ধুকে আলিঙ্গনাবদ্ধ
করল।
প্রাথমিক উচ্ছ্বাস। কুশল বিনিময়। সুমন
এই গ্রামেই তার বাবার কাঠের ব্যবসার হাল ধরেছে। অলক চাকরিসূত্রে বাইরে। এর কথা,
তার কথা, খুনসুটি। যৌবনের কলহাস্যে নদীতীর মুখর হয়ে উঠল। ফিরবার মুখে সুমন বলল–
-
কাল
আয়। একটা সারপ্রাইজ দেব।
-
কী ব্যাপার রে?
-
বলে দিলে সারপ্রাইজ থাকে নাকি? এই
বুদ্ধি নিয়ে চাকরি করিস?
-
সরকার এমনি এমনি মাস গেলে পয়সা ধরিয়ে
দেয়, নারে?
-
কি যে সারা বছর বাইরে থাকিস। ভালো লাগে
না।
-
পেটের দায় হে বন্ধুবর! আচ্ছা, আজ চলি।
কাল দেখা হবে।
আবার হাসি। হাতমেলানো। অন্ধকার নেমে
আসছে। এই বনপথটা পার হলে গ্রামের বাড়িগুলো থেকে হারিকেনের আলোর আভাস পাওয়া যাবে
অবশ্য। অলকের চাকরি জঙ্গলে। সেখানে বসতিই প্রায় নেই। আর এখানে ও কখন আলো দেখবে তার
চিন্তা করছে! নিজের মনেই হেসে ফেলল অলক। বাড়িতে সবাই ওর ফেরার অপেক্ষা করছে। বোনটা
তো রীতিমতো ঝগড়া করবে সন্ধ্যা পার করে ফেরার জন্য। এটা মনে পড়তেই হাঁটার ছন্দ আপনি
দ্রুততর হলো।
পরদিন কালজানির তীরে গিয়ে অলক সত্যিই
অবাক হয়ে গেল। সুমন একটা বন্দুক নিয়ে এসেছে! বন্দুক আর শিকারের নেশা তো অলকেরই
একচেটিয়া ছিল। উড়ন্ত পাখি বা ছুটন্ত খরগোস – সে লক্ষ্য স্থির করলে কেউ পালাতে পারত
না। কিন্তু সুমন? টিপ মোটামুটি ভালো হলেও ওর এসবে আগ্রহ ছিলো না বিশেষ।
-
বন্দুক কি হবে রে?
-
দেখই না।
বিকেল হয়ে আসছিল। নদীর পারের গাছগুলোতে
পাখিদের আস্তানা। আকাশে তাক করে ঘরফেরা একটা পাখিকে মাটিতে নামিয়ে ফেলল সুমন। সগর্বে
বন্ধুর দিকে চাইল। অলকের অবাক ভাবটা এখনো যায়নি।
-
মনে হচ্ছে অনেকদিন প্র্যাকটিস করেছিস?
-
হুঁ হুঁ বাবা, পাক্কা দুবছর।
-
কই, কিছু বলিস নি তো আগে?
-
বললাম যে, তোকে সারপ্রাইজ দেবার ছিল।
-
সে তো বুঝলাম, কিন্তু তোর তো এ
বিষয়ে.....
-
ইন্টারেস্ট ছিল না। তোর কথা শুনেই তো
হল।
-
আমার কোন কথা আবার?
-
তুই নাকি তিনটে বাঘ মেরেছিস? কাকু বলছিলেন।
তুইও তো কিছু বলিস নি আমায়।
স্পষ্ট অভিমানের ছোঁয়া সুমনের মুখে।
একটু গলা সাফ করে নিল।
-
তাই ভাবলাম, তোকে সারপ্রাইজ দেব। তোর
বন্ধু হয়ে এটুকুও পারব না? তা কেমন লাগল বললি না?
-
টিপ তো ভালোই হয়েছে।
আনমনা হাসল অলক। একটু এগিয়ে গেল। বালির
চড়ায় পড়ে থাকা পাখিটা গায়ে হাত বোলালো একবার। তারপর ছুঁড়ে দিল কালজানির জলে। সুমন
অবাক হযে দেখছিল ওকে। কথা বলবার সময় বিদ্রূপটা চাপা থাকলো না।
-
কী হলো তোর? বাঘশিকারী থেকে করুণাময়
বুদ্ধ?
-
বাঘশিকার করাটা খুব গৌরবের বলে মনে হয়
তোর?
-
মানেটা কি?
-
বাঘ কখন মারতে হয় জানিস? যখন সে গ্রামে
ঢুকে গরু, ছাগল কিংবা মানুষ মারে – একমাত্র তখনই।
-
সে যাই হোক, এরকম একটা শিকারে রোমাঞ্চ
নেই বলছিস?
-
সত্যি কথাটা বললে বিশ্বাস করবি?
-
কেসটা কী?
বিকেলের পড়ন্ত রোদে অলকের মুখটা একটু
ফ্যাকাশে লাগল।
-
তোরা আমায় ক্র্যাকশট বলতিস। আমার বেশ
একটা গর্বও ছিল তা নিয়ে। কঠিন লক্ষ্য বিঁধতে পারলে বড্ডো আনন্দ হতো। শিকার করা জীবগুলোর মাংস বেশি স্বাদু লাগত। এগুলো তুই,
তোরা সবাই জানিস। যেটা জানিস না তা হলো – খানিকটা এই সুযোগ পাব বলেই, ফরেস্টের
চাকরির জন্য অ্যাপ্লাই করেছিলাম।
অলক একটু চুপ করল। কালজানির স্রোতে
পাখিটা অনেকদূর ভেসে গেছে। অলক একটু দেখার চেষ্টা করল। দেখা গেল না। সুমন চুপ করে
শুনে যাচ্ছিল।
- তখন
আমি হাসিমারায় পোস্টেড। কিছুদিন ধরেই একটা লেপার্ড গ্রামে উৎপাত করছিল। লোকজন
নালিশ জানাচ্ছিল। কিন্তু একদিন গ্রামের একটা লোককে আহত করে বসায় সরকারের টনক নড়ল।
তখন চিতাটা মারবার জন্য অ্যাপ্লিকেশন চাওয়া হল। এই সুযোগ ছাড়ি কখনো? অ্যাপ্লাই করে
দিলাম। আর যেহেতু
ঘটনাটা আমার এলাকায়, চটপট পারমিশনও পেয়ে গেলাম।
চিতাটা
আগের দিন একটা ছাগল মেরেছিল। কিন্তু যে কোন কারণেই হোক বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেনি।
আজ তার খোঁজে ফিরে আসবে
আন্দাজ করেছিলাম। জুতমতো একটা গাছও পাওয়া গেল। চিতা যদিও গাছে চড়তে পারে, তবু
মাটির চেয়ে মাচা নিরাপদ আশ্রয়।
অলক একটা নুড়ি ফেললো জলে। আলো কমে আসছে ক্রমশঃ।
জলের মধ্যে থেকে টুপ শব্দটা যেন ওকে সচেতন করে তুললো। কিছুটা হড়বড় করেই বলতে শুরু
করল –
-
সেই সন্ধ্যায়
চিতাটা এসেছিল। ছাগলটার লোভে আসেপাশে তাকালোই না। বোধহয় খুব খিদে পেয়েছিল। এত ইজি
টার্গেট আমি জীবনে পাইনি। এক গুলিতেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। তবু নিশ্চিত হবার জন্য একটু
পরে দ্বিতীয় গুলিটা চালালাম। তাতেও যখন নড়ল না, তখন নিশ্চিন্ত হয়ে গাছ থেকে নেমে
দেখতে গেলাম। সেটাই আমার কাল হলো।
অলক আবারও দম
নিল। একটু হাঁপাচ্ছে এবার। সুমন কিছু বলল না এবারেও। একটু পরে অলক আবার শুরু করল –
-
পূর্ণিমার আলোয়
চারদিক ভেসে যাচ্ছিল। হালকা ঘিয়ে রঙের ওপর কালো কালো ছাপ দেওয়া জামা পরে লেপার্ডটা
পা ছড়িয়ে শুয়ে ছিল। ওর দুচোখে একটুও হিংসা ছিল না। যা ছিল, তা এক অসহায় বিস্ময়।
সেই মুহূর্তে ওর উৎপাতের কথা একবারও আমার মনে পড়ল না। শুধু মনে হচ্ছিল – আজ আমার
হাতে একটা সুন্দরের মৃত্যু হলো।
আগেও তো কতো শিকার করেছি। কখনো এমন মনে হয় নি। অথচ
সেদিন...
সুমন ছটফটিয়ে
উঠলো –
-
কিন্তু তুই তো
তারপরেও শিকার করেছিস। ইন ফ্যাক্ট কাকু বলছিলেন আরো গোটা দুয়েক....
-
চাকরি! ভয়েই
হোক, বা অন্য কারণে, বিশেষ কেউ একাজে এগিয়ে আসে না। ডিপার্টমেন্টে আমার নামটা
ছড়িয়ে পড়েছিল। বাইরে থেকে শিকারি আনার অনেক হ্যাপা। যদি নিজের দফতরের মধ্যেই পাওয়া
যায়, তাহলে..
-
কিন্তু অলক,
ব্যাপারটা তো রিস্কি হয়ে যাচ্ছে। এমন দ্বিধাবিভক্ত মন নিয়ে...
মাথা নাড়ল অলক
–
-
ব্যাপারটা ঠিক
সেরকম নয়। অ্যাসাইনমেন্ট যখন নিই, তখন বড্ডো কষ্ট, বড্ডো যন্ত্রণা। আবার জঙ্গলে
যখন ঢুকি তখন যেন কী হয়। এ এক অদ্ভুত গেম। হয় মারো নয় মরো। মাঝামাঝি তো কিছু নেই।
অন্তত আমার মাথায় আর কিছু থাকে না তখন । একবার তো জায়গামতো গাছ না পেয়ে মাটিতে –
মানে শিকার ও শিকারী এক সমতলেও বসেছি। মাঝে একটা ঝোপের আড়াল ছিল অবশ্য।
-
তবু –
-
তবু খেলাশেষে
জেতার আনন্দ পাইনি। বরং এক অদ্ভুত অবসাদ আর কষ্টে.....
অলকের গলা
বুজে আসছিল। কেউ বোঝে না। কেউ মানতে চায় না। মনের এক অনির্দেশ্য অভিমানে সে আচমকা
উঠে পড়ে বাড়ির দিকে হাঁটা লাগাল।
সুমন কিছুক্ষণ
হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। তারপর নিজের মনেই মাথা ঝাঁকাল কয়েকবার।
*******
অলক যাই বলুক,
সুমন টের পাচ্ছিল শিকারের একটা আলাদা নেশা আছে। সে ছিপ দিয়ে মাছ ধরাই হোক, বা
বন্দুক দিয়ে পাখি মারা। সুমনের নেশাও বেড়ে চলছিল। পাখি থেকে খরগোশ। খরগোস থেকে
হরিণ। এর মধ্যেই ঘটনাটা ঘটে গেল।
এই অঞ্চলে
বুনো হাতির পাল নেমে আসে মাঝে মাঝেই। এবারে একটা মস্ত্ হাতি বড্ডো উৎপাত জুড়েছে।
লোক দেখলেই তাড়া করছে। সেদিন একজনকে ধরতে না পেরে তার বাইকটাকে দুমড়ে মুচড়ে রুটি
বানিয়ে দিয়ে গেছে। তার ভয়ে লোকজন বনের দিকে যাচ্ছে না বিশেষ। সুমনও গত দুই রবিবার
শিকারে যায়নি। দলটা চলে যাওয়ার অপেক্ষা করছে। বুনো জন্তুদের উৎপাত এড়ানোর জন্য
তাদের এলাকাটা যৌথ প্রচেষ্টায় তারকাটার বেড়া দিয়ে ঘেরা আছে বলে কিছুটা নিশ্চিন্ত।
তবে হাতির সামনে বেড়া কতটা কাজের কে জানে! অন্যান্য জন্তুদের উৎপাত থেকে রক্ষা
পাওয়া যায়, এই যা।
কপালগুণে বা
দোষে দিনটা ছিল রবিবার। সুমন রোদ্দুরে বসে বন্দুক পরিস্কার করে তেল দিচ্ছিল। হঠাৎ
লোকজনের সমবেত চিৎকারে মুখ তুলতেই আতঙ্কে পাথর হয়ে গেল।
শুঁড় আকাশে
তুলে হুঙ্কার ছাড়তে ছাড়তে ছুটে আসছে সেই বিশাল মদমত্ত হাতিটা। তার দুচোখের পিছনে রগ বেয়ে রস গড়াচ্ছে। পুরুষাংঙ্গ বাইরে বেরিয়ে এসে প্রায় পায়ের কাছ অবধি ঝুলে
পড়েছে। ডানার মতো মেলা কানদুটোর জন্য মুখটা আরও বড়, আরও বীভৎস দেখাচ্ছে। বন পার করে
খোলা মাঠ ধরে সে ছুটে আসছে। আর তার সামনে ও কে? হিরু না? বেশ কিছুটা সামনে থেকে সে
প্রাণপণে সাইকেল চালাচ্ছে। কোনমতে গ্রামে ঢোকার লক্ষ্যে। কিন্তু সুমন পরিস্কার
দেখতে পাচ্ছে দুজনের মধ্যেকার দূরত্ব কমে আসছে ক্রমশঃ। লোকজনের চিৎকারে ভয় পাওয়া দূরে থাক, আরো রেগে গিয়ে আরো
দ্রুত ধেয়ে আসছে দানব। সুমন চোখে অন্ধকার দেখল। হিরু ওখানে গেল কি করে?
হিরু সুমনের
বড় আদরের ভাইপো। সকালে সে পাশের গ্রামে গিয়েছিল কি জানি এক কাজে। কাজ শেষ হতে দেরি
হওয়ায় মূল ঘোরা পথ ছেড়ে বনপথের সর্টকাট নিয়েছিল। হয়তো ভেবেছিল দুপুরের দিকে ভয়ের
কিছু নেই। কারণ এ পর্যন্ত সব ঘটনাই ঘটেছে বিকেল বা সন্ধ্যার মুখে। এসব সুমন
শুনেছিল অনেক পরে।
আপাতত সে
বন্দুক তুলল। সামনে হিরু, পিছনে হাতি। হাতিটার দুই চোখের মাঝে লক্ষ্য স্থির করতে
গিয়ে দেখল মাঝে হিরু চলে আসছে। মস্ত্ হাতি যে কী ভয়ংকর, তা সে এখন টের পাচ্ছে। হরিণ-শিকারি
হিরুর শিরদাঁড়া দিয়ে ভয়ের হিমেল স্রোত নামতে থাকল।
চলে এসেছে
হিরু। বেড়ার ধারে পৌঁছে গেছে ও। সময় নষ্ট না করে সাইকেল থেকেই নিজেকে শূন্যে
ভাসিয়ে দিল হিরু। হাতিটা তখনও কিছুটা পিছনে।
হিরু দেখতে
পায়নি। শিকার ফসকে যাচ্ছে দেখে, একই সঙ্গে তার পিছনের জনও গতি বাড়িয়ে দিয়েছিল।
জীবন আর মৃত্যুর মাঝের তিন সেকেন্ড আর পার করা হলো না হিরুর। শূন্য থেকেই ওকে
শুঁড়ে পেঁচিয়ে তুলে নিল দানবটা। আছড়ে মাটিতে ফেলে পায়ের তলায় পিষে দিল। একদঙ্গল লোকের চোখের সামনে একটা গোটা মানুষ মাংসের তাল
হয়ে গেল। পুরো ঘটনাটা ঘটতে সময় লাগল ঠিক তিন মিনিট!
*
*
*
নাঃ। সুমন
হাতিটাকে মারতে পারেনি। সদর্পে সে ফিরে গিয়েছিল মাঠ পার হয়ে নিজের এলাকায়।
সুমনের হাত
থেকে অনেক অগেই বন্দুক পড়ে গিয়েছিল। আর ওর চোখের সামনের দৃশ্যপট বদলে বদলে
যাচ্ছিল। হাতির চেহারাটা স্পষ্ট নয় আর। অপরপক্ষে মাংসের দলাটাই বা কার? সেই পাখিটার?
যাকে ও প্রথম শিকার করেছিল? না, না। এটা তো সেই ছুটন্ত খরগোসটা। উঁহু, তাই যদি হয়,
তাহলে ওই মরণান্তিক আর্তনাদটার উৎস কী? এতক্ষণে বুঝতে পেরেছে সুমন, এটা সেই
হরিণীটা। ওর পেটে বাচ্চাও ছিল যে! তাই এতটা মাংস!
দু হাতে চোখ
চেপে বসে পড়ল সুমন। কিন্তু দৃশ্যগুলো একের পর এক ওর মনের পর্দায় আছড়ে পড়তেই লাগল।
পড়তেই লাগল। পড়তেই..........
1 comment:
Khub sundor.. Didibhai.
Post a Comment