||দোলা সেন||
১২ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৮ সাল। ক্যালিফোর্নিয়ার এল সেগুন্ডোতে
ম্যাককেন্ডলস পরিবারে একটি ছেলে জন্মায়। ক্রিস্টোফার জনসন ম্যাককেন্ডলস। পরিবারটি
নিশ্চয়ই খুশি হয়েছিল। কিন্তু একটু বড়ো হয়ে ক্রিস সেই আনন্দ আর নিজের মধ্যে খুঁজে
পায় নি। পরিবার ছেড়ে বন্য প্রকৃতির মধ্যে চলে যাবার, তার মধ্যে নিজেকে হারাবার
প্রবল ইচ্ছেতে সে ছটফট করতো। ১৯৭৬ সালে তারা যখন বাস উঠিয়ে ভার্জিনিয়ায় চলে গেল
তখনও এ অবস্থার বদল হলো না।
তা এজন্য ক্রিসকে খুব একটা দোষও দেওয়া যায় না। কেনই বা তার হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করবে না? বিশেষতঃ সন্ধ্যায় যখন দেখত তার মদ্যপ বাবার হাতে বেদম ঠ্যাঙানি খাচ্ছে তার মা – তখন তার মনে হতো যেদিকে দুচোখ চায়, পালিয়ে যাই। অথবা রাতের বন্ধ দরজার ওপার থেকে মায়ের গোঙানি, সকালে মায়ের গায়ে মুখে কালশিটে, ওয়ালটারের – বাবা বলতে ইচ্ছে করে না ক্রিসের – মুখে এক পৈশাচিক পরিতৃপ্তি – তখন বয়ঃসন্ধির জালে আটকানো কিশোরটি বার বার মনে হতো হেথা নয়, অন্য কোনোখানে। সবচেয়ে অসহ্য লাগত যখন মা কলার দেওয়া পুরোহাতা জামা পরে পরদিন সেই বাবার জন্যই ডিনার তৈরি করতে বসত। বিলি, মনে মিসেস উইহেলমিনা ম্যাকক্যান্ডেলসের মুখের হাসিটা দেখলে ক্রিসের তখন..., যাকগে, সেসব কথা। হয়তো চলেই যেত ক্রিস, যদি না...